দায়সাড়া মাটি ফেলে অনেক পিআইসি মোটা অংকের টাকা লুটপাট করছে। অথচ এরই মধ্যে পিআইসিদের ৬০% টাকা প্রায় ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। হাওরের বেরীবাঁধ কে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট এরা স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের সাথে আতাত করে মোটা অংকের টাকা ভাগিয়ে নিয়ে নাম মাত্র কাজ করে মোটা অংকের টাকা লুটপাট করছে।অভিযোগ রয়েছে,জবাবদিহিতা না থাকায় প্রতি বছরেই সরকারি টাকা লুটপাট করে দুর্নীতিবাজরা পার পেয়ে যাচ্ছে। ঘুরে ফিরে প্রতি বছর একই লুটেরাদের বেরীবাঁধের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। জানা যায়, সরকারএবার উপজেলার হাওরের ৭০ কি.মি. বেরী বাঁধ নির্মাণে প্রায় ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। গঠন করা হয়েছে ৩৭ টি পিআইসি (প্রজেক্ট বাস্তবায়ন কমিটি)। পিআইসি গঠনে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা উপ সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজীর বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। গত বছর ও মোটা অংকের বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে তার বিরুধ্বে।
উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের মেম্বার হিরা মিয়া সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে এব্যপারে লিখিত অভিযোগ করেন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে,সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী সটিক মানসম্মত বাধ নির্মাণ না করে দায়সারাভাবে মাটি ফেলে মোটা অংকের টাকা লুটপাট করা হচ্ছে।
নলুয়া হাওর পাড়ের কৃষক সিদ্দিক মিয়া জানান,বাধ গুলোতে নাম মাত্র মাটি ফেলে সরকারী টাকা লুটপাট করা হচ্ছে। এ ছাড়া এবার ও পাউবোর কর্মকর্তা হাসান গাজী কে ম্যানেজ করে আওয়ামীলীগ নেতা জুয়েল মিয়া নলুয়া হাওরের পশ্চিম প্রান্তের ৫টি বাধের কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নিয়েছে।তার ভাই ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজনদের দিয়ে পিআইসি গঠনের মাধ্যমে বাধ গুলোতে দায়সারাভাবে মাটি ফেলে সরকারী টাকা লুটপাট করা হচ্ছে ।
এ দিকে স্হানীয় পিংলার হাওরের বেরী বাধের কাজ এখন ও সম্পন্ন না হওয়ায় হাওরটি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে ।ঠিকাদার কামরুজ্জান ও তার সহযোগীরা নদী তীরবর্তী পিংলার হাওরের পুরাতন বেরী বাধে দায়সারাভাবে এলোমেলো ভাবে মাটি ফেলে স্হানীয় কৃষকদের ভূগান্তির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।
জগন্নাথপুর গ্রামের কৃষক মুজিবুর রহমান রোববার যুগান্তর কে বলেন পিংলার হাওরে ১২ কেদার জমি করেছি (৩০শতকে ১কেদার) সটিক ভাবে বেরী বাধ না করায় ধান কর্তন করে কি ভাবে ঘরে তুলবো এ নিয়ে টেনশনে আছি।
কৃষক আব্বাস আলী জানান,ঠিকাদার নাম মাত্র এলোমেলো ভাবে মাটি ফেলেছে । বাধের ড্রেসিং ও করেনি আবার অনেক স্হানে মাটিও পড়েনি। এদের কার্যকলাপে আমরা ভূগান্তি তে পড়েছি। নাম মাত্র মাটি ফেলে মোটা অংকের টাকা লুটপাট করছে দূর্নিতীবাজরা।
এ বিষয়ে ঠিকাদার কামরুজ্জানের বক্তব্য জানতে তার মুটোফনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এ ব্যাপারে পাউবোর জগন্নাথপুর উপজেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী
প্রকৌশলী হাসান গাজী তার বিরুধ্বে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টিকাদারদের অনিয়মের বিষয়ে উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষ কে জানিয়েছি।
ইউ এন ও মেহেদী হাসান বলেন, ঠিকাদার দের অনিয়মের ব্যাপারে উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষ কে জানিয়েছি।
রোববার উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান যুগান্তর কে বলেন, ঠিকাদার দের দূর্নিতীর বিষয়ে জেলা সমন্বয় সভায় জানিয়েছি। এরা দায়সারাভাবে কাজ করে জনসাধারণ কে ভূগান্তিতে ফেলেছে এবং সরকারী টাকা লুটপাট করেছে। এদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন ।
Leave a Reply